,

দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নযুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে -রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ

সময় ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে বর্তমান সরকার দেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য উন্নয়ন করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ অনুসরণ করে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নযুদ্ধে আমাদের জয়লাভ করতে হবে। এ জন্য কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন অপরিহার্য। কেননা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় কৃষির ভূমিকা মুখ্য।  গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৭ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। পরে বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারের পাশে দেশের প্রথম হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রযুক্তি মেলা পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আলী আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক জসিমউদ্দিন খান। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আরো বলেন, বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরিতা মোকাবেলা করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ধান, গম, ভুট্টা, সবজি, মাছ ও মাংস উৎপাদনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলেছে। এটি সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের বাস্তবমুখী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে। বিশেষ করে কৃষি ভর্তুকি, কৃষকদের অনুকূলে সার, সেচ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাবদ ব্যাপক ভিত্তিতে কৃষি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিবিদদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই এ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ, জ্ঞান-অর্থনীতির যুগ। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই বিশ্ব ব্যবস্থায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে তার আপন বৈশিষ্ট্য নিয়ে টিকে থাকতে হলে তার স্থানিক ও বৈশ্বিক অবস্থান স্পষ্ট করতে হয়। এটি সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক উপযোগিতা, মান ও আন্তর্জাতিক চারিত্র নিশ্চিত করার মাধ্যমে। উচ্চতর কৃষি শিক্ষার পথিকৃত ও প্রধান বিদ্যাপীঠ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তার লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে শিক্ষা ও গবেষণায় বরাবরই বিশেষ যতœবান। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমার বাড়ি কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে। হাওর ও চর উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হওয়ায় অবহেলিত হাওর অঞ্চল সুবিধা পাবে। তিনি পর্যায়ে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বছর তিনি এসএসসি পাস করেছেন। ওই সময় তিনি রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খানের ছবি ভাংচুর করেছেন। তিনি হাস্যরস করে বলেন, তবে এখনও আমার ছবি কেউ ভাংচুর করেনি। তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সময়ে ফজলুল কাদের চৌধুরী কিশোরগঞ্জে এসেছিলেন। তখন তিনি তাকে কালো পতাকা প্রদর্শন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ অগ্নিকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে না আসার কোনো কারণ ছিল না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ না বললে অনুষ্ঠানে যোগদান করা সম্ভব হতো না।


     এই বিভাগের আরো খবর